কাঁচা আমের টক ঝাল মুখোরোচক
কাঁচা আমের টক ঝাল মুখোরোচক আঁচার এভাবে বানালে 2-3 বছরে ও খারাপ হবে না
হ্যালো গাইস আমার ব্লগারে আপনাদের স্বাগতম আজকে একটা দারুন মজার রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম কাঁচা আমের টক ঝাল মুখরোচক আচাররের রেসিপি নিয়ে আমার মতো করে খুব সহজেই আপনারা এই আচার বানিয়ে ফেলতে পারেন খেতে কিন্তু দারুন আর মুখরোচক হয় আর একবার বানিয়ে নিলে আপনারা একবছরের বেশি সময় ধরে খেতে পারবেন । বন্ধুরা এখানে আমি দুকেজি কাঁচা আম নিয়েছি আর এটাকে ছোটো ছোটো টুকরো করে নেবো খোশা সুদ্ধু আম কিন্তু আমি কাটার আগে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রেখেছিলাম । আতি পাশে পাতলা বাটা পেপারের মতো থাকে সেটাকে কিন্তু আম কাটার সময় অবশ্যই তুলে ফেলে দিতে হবে। এটি থাকার পর খাওয়া সময় গলায় লেগে যেতে পারে আর এটি থাকলে আচার নষ্ট হওয়ার ও ভয় থাকে তো অবশ্যই মনে করে এটা ফেলে দিতে হবে আর তারপর এখানে আমি আচারে লবন মিশিয়ে নিচ্ছি লবনের পরিমাণ টা এই আচারে কিন্তু বেশি করে দিতে হয় আর দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো হলুদ এর গুঁড়ো লবন হলুদ দিয়ে ভালো করে ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে মিশিয়ে দিচ্ছি 2kg কেটে আমি দুটি পাত্রে রেখেছি আর লবন গুলো মিশিয়ে একঘন্টা জন্য রেখে দিয়েছিলাম এখন একটা ঝুড়ির মধ্যে আম গুলোকে নিয়ে নিচ্ছি কারণ লবন মেশানোর পর আম থেকে বেশ কিছুটা জল বের হয় এই জল তাকে কিন্তু আমি আলাদা করে দেবো জল আলাদা করে নিয়ে তারপর শুকিয়ে নেবো যদি রোদটা ভালো হয় তাহলে একদিন আমটা ভালো করে শুকিয়ে যাবে আর যদি রোদ কম হয় সে ক্ষেত্রে আপনারা দুদিন পর্যন্ত রোদ দিতে পারেন ।
এবার আচার বানানোর জন্য আমি ফ্লেম অফ রেখে আমি ফ্লাইম বানিয়ে নিচ্ছি । তিন টেবিল চামচ কালো শর্ষে. 2 টেবিল চামচ গোটা ধোনে, 2 টেবিল চামচ গোটা জিরে, 1 টেবিল চামচ গোটা মরিচ আর 1/2 (হাফ) চামচ নিচ্ছি গোটা মেথি দানা। এবার ফেল্ম on করে লো ফ্লেমে সমস্ত মশলাকে ভালো করে ভেজে নেবো খুব বেশি লাল করা যাবে না হালকা ভাজতে হবে যাতে মশলাগুলো মুছ মুছে হয় আর হালকা গন্ধ বের হয়। বন্ধুরা মশালটা একটু ঠাণ্ডা হয়ে গেলে গুড়ো করে নেবো। এরপর কড়াইয়ে নিয়ে নেবো মেজারিন কাপে দেরকাপ পরিমাণে সর্ষে তেল টেলটাকে ভালো করে এই পর্যায় গরম করে নেবো জিরে বা মৌরি তেলের উপর দিতে হবে দিলে ওটা ভেসে উঠবে তখন বুজতে হবে তেল টা হয় গেছে । তেলটাকে এবার জুড়িয়ে নিতে হবে। বন্ধুরা তারপর আমি জুড়িয়ে নেওয়া তেল আমি বড় পাত্রে ঢেলে নিয়েছি টেলটা কিন্তু এখন কুসুম গরম আছে এই কুসুম গরম তেলের মধ্যে আমি তিনটি উপরক ন মিশিয়ে দেবো তারপর উপকরণ গুলো তেল ঠাণ্ডা হলে দিতে হবে। দিয়ে দিচ্ছি হাফ চামচ কালো জিরে, হাফ ছামোচ জোয়ান আর অনফোর পিচ চামচ হিম। তেল জুড়িয়ে গেলে এখানে দিয়ে দিচ্ছি 3 টেবিল চামচ পরিমাণ কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো আর দিচ্ছি 2 টেবিল পরিমাণ প্লেন লাল লংকার গুড়ো আর দিচ্ছি একচামোচ পরিমাণ হলুদের গুঁড়া কাশ্মীরি লাল লংকা দিলাম যাতে করে আচারের রঙ্গটা সুন্দর হয় বাজারের কেনো আচার গুলোতে ফুড কালার মেশানো থাকে এখানে আমিফুড কালার না মিশিয়ে কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে ছি এতে করে রংটা বেশ সুন্দর হয় এবার যে মশলা আমি গুড়ো করে নিয়েছি সেই মশলা তেলের সাথে অল্প অল্প করে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে সমস্ত মশলা তেলের সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিয়ে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করব যাতে করে মশলা গুলো তেলের মধ্যে ভালো করে ফুলে যায় এরপর এখানে দিচ্ছি পরিমাণ মতো পাতি লবন এই আচারে লবন এর পরিমাণ টা একটু বেশি করে দিতে হয় এতে করে আচার নষ্ট হয় যায় না এরপর মিশিয়ে দিয়েছি 2 টেবিল চামচ পরিমাণ ভিনিগার। ভিনিগার দিলে আচার নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না। সমস্ত তেল আর মশলা আমি একসাথে mishiye নিয়েছি মশলা আমাদের এক বারে রেডি এবার এখানে শুকনো করা আম যোগ করে নিচ্ছি তেল আর মশলা কে ভালো করে মিশিয়ে নেবো একসাথে খুব ভালোকরে মিশিয়ে নেবো যাতে করে আমের গাই তেল আর মশলা সুন্দর একটা প্রোটিন ধরে যায় । এই পর্যায়ে আমের পিচ গুলো খুব বেশি শুকনো মনে হলে ও তেল আর মশলা সাথে থেকে থেকে বেশ নরম ও মজে যাবে এবার ভালো করে মাখিয়ে নেবার পরে কিভাবে কাচের বোতল ভোরে নিলে আচরটা সারাবছর ধরে থাকবে সেটা আমি তোমাদের এবার বলে দেবো। আচার ভালো রাখার জন্য এখানে আরও একটু তেলের ব্যবহার করবো । তার জন্য এখানে 1 কাব তেল গরম করে নেবো । তেল গরম করে নেবার পরে তেল তাকে ভালো করে ঠাণ্ডা করে নেবো আর যে বয়ামে আচার রাখা হবে টা যেনো অবশ্যই কাচের হয়। গরম ঠাণ্ডা হবার পর দুতিন চামচ তেল দিয়ে জারের মধ্যে ভালো করে নাড়িয়ে জারের মধ্যে ভালো করে লাগিয়ে নিলাম আর তারপর আচার এই জারের মধ্যে ভরে নেবো আচার ভরতে ভরতে চামচ দিয়ে চেপে চেপে দিতে হয় যাতে করে আচারের মধ্যে গেফ না থেকে যায় gef থেকে গেলে সেখানে বাতাস থেকে থাকে আর তাতে করে আচার নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে এরপর তেল আর মশলা পুরো ঢেলে দিলাম এরপর যে গরম তেলটা আমি বানিয়েছি সেটা ও এর উপর ঢেলে দিয়েছি। চেষ্টা করবেন আমের উপর পর্যন্ত যেনো তেল থাকে তাতে করে আচার নষ্ট হওয়ার ভয় থাকবে না। এখানে আমি বয়ামের উপর একটা সুতির কাপড় বেঁধে দিয়েছি আমি দু তিন দিন রোদে এভাবে রেখে দেবো এতে করে করে আচার সুন্দর মজে যাবে এরপর আচারের ঢাকনা লাগিয়ে সারা বছরের জন্যে সংরক্ষন করে নিতে পারবো
আশা করছি আজকে আমার এই টক ঝাল মুখরোচক আমের আচারের রেসিপি ভালো লেগেছে ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করে দিবেন।
✌️👌😊
সবাই অনেক অনেক ধন্যবাদ বাদ আমার সাথে এতখন থাকার জন্যেই আজকেই এই পর্যন্ত দেখা হচ্ছে পরের ভিডিও তে।
কোন মন্তব্য নেই